হিন্দ সংবাদ,পশ্চিম মেদিনীপুর :
এবার বিধানসভার ভোট রাজ্য পুলিশে হবেনা,ভোট করাবে CRP,MCC চালু হতে দেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের সভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী, এইদিন পদযাত্রা ও সভাতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ এক ঝাঁক বিজেপি জেলা নেতৃত্ব,এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী পাশাপাশি নাম না করে তৃণমূলের এক সংসদের উপর তোপ দাগলেন তিনি, তিনি বলেন এক তৃণমূল সাংসদ বলেছে মেদিনীপুরে নাকি বিশ্বাসঘাতকদের জন্ম হয় সেই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন এই মেদিনীপুরের মাটিতেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম হয়েছিল তিনি যদি না বর্ণপরিচয় লিখতেন তাহলে হয়তো আজ উনি নিজের পরিচয় লিখতে পারতেন না,পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ভারত বর্ষ গণতন্ত্রের দেশ এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রয়েছেন সেখানে আমি একজন ভোটার হিসাবে আমার স্বেচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের দলকে ভোট দিতে পারি, গত ২৭ শে নভেম্বর আমি মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি, পাশাপাশি ১৬ ই ডিসেম্বর বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করি, এবং তার পরের দিনই দলের প্রাথমিক সদস্য থেকে পদত্যাগ করার পরই বিজেপিতে যোগদান করেছি এটা আমার অধিকার রয়েছে, এইসব লোকেদের ২০২১ সালের শিক্ষা দেবেন তো, বাংলায় পদ্ম ফুটাবেন তো, আমি চাই কলকাতা ও দিল্লি তে এক সর্কার থাকুক,এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে গত লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন গত লোকসভা ভোট কিভাবে হয়েছিল সাধারণ মানুষ তা জানেন,ডায়মন্ড হারবারে এমনকি ঘটনা ঘটে গেল যেখানে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ নির্দল প্রার্থীরা নমিনেশন করতে পারিনি কারণ প্রত্যেকটি বিডিও অফিসের সামনে জেহাদিদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে সিপিএমের বিরুদ্ধে একাধিক আন্দোলন গড়ে তুলেছি, বর্তমান সিপিএমের হাল এই রকম পরিস্থিতি হতো না যদি না একাধিক সিপিএম নেতা কে বাদ দেওয়া হতো,অন্যদিকে হোস্টিংয়ে সুনিল মন্ডলের গাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় তিনি বলেন আমি ঢোকার সময় কেউ কিছু বলতে পারিনি শুধু শোনা গেল আমি কেন বলতে গেছি, আমি পাল্টা বলেছি তোমরা কেন কংগ্রেস ছেড়েছ, বেরোনোর সময় ৫০ জন হো হো করছিল সবগুলো জিহাদী, কোন দিকে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর আমাকে নেতাজি ইন্ডোরে ডেকে পাঠানো হয় তাই দেবে বলে কারণ আমি যে গ্রামের ছেলে, তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল যুবা জার্নি তা হলো ভাইপো, আমাকে বাদ দিয়ে ভাইপোকে সভাপতি করা হবে, কোন দিক দিয়ে ১১ টা,আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি এমনটাই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী,অন্যদিকে পার্লামেন্টে গেলে সর্বদলীয় ব্যক্তির সাথে কথা বলতে হয় সে ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হতো, এমনটাই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।